চামড়ার বর্জে তৈরি হচ্ছে মুরগীর খাদ্য। কেমিক্যালযুক্ত এমন বিষাক্ত, মুরগীর খাদ্য তৈরি করছে বেশ কয়েকটি অসাধু চক্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, চামড়ায় মিশ্রিত ক্রোমিয়ামের মতো এরকম ভারী পদার্থ মুরগীর মাধ্যমে ঢুকে পড়ে মানুষের শরীরে। যাতে ক্যান্সারসহ বড় ধরণের রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সাভার আমিনবাজারের গহীন এলাকা। এখানে কয়েক টন চামড়ার বর্জ্য বিষাক্ত এসিডে গলানো হচ্ছে চুল্লিতে। অসাধুচক্র এই গলানো চামড়াই পাশের মেশিনে ভেঙ্গে তৈরি করছে মুরগীর খাদ্য। যেগুলো পরে রোদে শুকিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় নামকরা মুরগীর ফিড মিলে।
একই এলাকায় পাশেই তৈরি করছে মুরগীর খাদ্য। বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল ও এসিড মেশানো এই খাবারই নাকি প্রোটিন হিসেবে ব্যবহার করা হয় মুরগীর খাদ্যে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ, চামড়ায় তৈরি মুরগীর খাদ্য দুই মাস ধরে মুরগীকে খাওয়ানোর পর একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে। যাতে দেখা গেলো প্রতি কিলোগ্রামে ওই মুরগীগুলোর রক্তে ক্রোমিয়াম আছে ৭৯০ মাইক্রোগ্রাম। মাংসে ৩৫০ মাইক্রোগ্রাম। হাড়ে ২ হাজার মাইক্রোগ্রাম। কলিজায় ৬১২ মাইক্রোগ্রাম আর মগজে ৪ হাজার ৫২০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থোৎ চামড়ার ফিড খাওয়ালে গোটা মুরগীটাই বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যা মানুষের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
কেমিক্যাল হিসেবে ক্রোমিয়ামের বৈশিষ্ট এমন যে, এটি মুরগীর মধ্যে ঢুকে পড়লে যত রান্নাই করা হোক না, খাওয়ার মাধ্যমে তা মানুষের শরীরে ঢুকে পড়বেই।
এমন গবেষণার পর হাজারীবাগে মুরগীর ফিড তৈরির কারখানাগুলোকে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এখনো চালু রয়েছে সাভার এলাকার কারখানাগুলো। গবেষকদের মতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পোল্ট্রি শিল্পে ঢুকে পড়া এইসব ভেজাল ছড়িয়ে পড়বে।